দক্ষিণের জনপ্রিয় ও গ্ল্যামারাস অভিনেত্রী হানসিকা মোতওয়ানি। খুব ছোটবেলাতেই শোবিজে পা রাখেন তিনি। অল্প সময়ের মধ্যেই অভিনয় দক্ষতা আর মিষ্টি হাসিতে দর্শকদের মন জয় করে নেন তিনি। তবে চলচ্চিত্রের জন্য যতটা প্রশংসিত তিনি, ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে ততটাই সমালোচিত।
কখনও হরমোন ইনজেকশন নিয়ে, কখনও ভিডিও ফাঁসের কারণে বিতর্কের মুখে পড়েন হানসিকা। বান্ধবীর স্বামীর সঙ্গে প্রেম-বিয়ে, এমনকি ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাতের অভিযোগও ওঠে অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে। সমালোচনা যেন পিছুই ছাড়ে না তার।
২০০৭ সালে তেলেগু সিনেমা ‘দেশমুদুরু’-তে অভিনয়ের সময় হরমোনের ইনজেকশন নেওয়ার কারণে বিতর্কের মুখে পড়েন হানসিকা। শোনা যায়, দ্রুত যৌবন পাওয়ার আশায় ডার্মাটোলজিস্ট মায়ের কাছ থেকে হরমোন ইঞ্জেকশন নিয়েছিলেন তিনি। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেন হানসিকা।
২০০৬ সালে গোয়ায় হানসিকার বান্ধবী রিঙ্কি বাজাজের সঙ্গে ডেস্টিনেশন ওয়েডিং করেন সোহেল কাঠুরিয়া। তাদের বিয়েতেও হাজির ছিলেন অভিনেত্রী। কিন্তু একটা সময়ে সেই বান্ধবীর সংসার ভেঙে তার স্বামীর সঙ্গেই প্রেমের সম্পর্কের অভিযোগ ওঠে হানসিকার বিরুদ্ধে। পরবর্তীতে বিয়েও করেন সোহেল-হানসিকা।
শুধু তাই নয়, এমএমএস ফাঁস বিতর্কেও জড়িয়েছিলেন তিনি। ২০১৫ সালে একটি গোসলের ভিডিও ভাইরাল হয় নেটদুনিয়ায়। ভিডিওতে হানসিকাকে দেখা গেছে বলে দাবি করা হয়। যদিও পরে হংসিকা নিজেই স্পষ্ট করেন, যে ভিডিওটি তার নয়। তার মতো দেখতে অন্য একজন মেয়ের।
২০২২ সালে তার সিনেমা ‘মহা’নিয়ে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাতের অভিযোগও ওঠে হানসিকার বিরুদ্ধে। সিনেমার পোস্টারে সাধ্বীর পোশাকে নেশা করতে দেখা গিয়েছিল তাকে।
এখানেই শেষ নয়, ‘আপকা শুরুর’সিনেমায় মাত্র ১৬ বছর বয়সে তার চেয়ে ১৮ বছরের বড় অভিনেতা হিমেশ রেশমিয়ার সঙ্গে রোম্যান্সে লিপ্ত হয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন হানসিকা।
প্রসঙ্গত, হিন্দি সিনেমায় খুব কমই কাজ করেছেন হানসিকা। তবে দক্ষিণী সিনেমার পরিচিত মুখ তিনি। তামিল, তেলেগু, কন্নড় এবং মালয়ালম ভাষায় ৬০টিরও বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন হানসিকা।